টিসিবির কার্ড পেতে অর্থ লেনদেন!

0
61
টিসিবির কার্ড পেতে অর্থ লেনদেন!

গৃহকোণ অর্থনীতি ডেস্ক: সারা দেশে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিতরণ শুরু করলেও মিলছে না ক্রেতাদের স্বস্তি। অনেকেই কার্ড পেয়েও পণ্য পাননি, অনেকের আবার কার্ড নিতে গিয়ে করতে হয়েছে আর্থিক লেনদেন। রোববার সকাল থেকেই ট্রাকের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকেন নিম্ন ও মধ্যআয়ের মানুষ। কোথাও কোথাও সময়মতো টিসিবির ট্রাক না পৌঁছানোয় ক্ষোভ জানান অনেকেই। সরকারের দেওয়া ফ্যামিলি কার্ড হাতে নিয়েও প্রচÐ রোদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মানুষকে পণ্য কিনতে হয়েছে। এছাড়াও দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের অনেকে কার্ডই পাননি। তাদের কেউ কেউ তবু পণ্যের আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পণ্য দেওয়া হয়নি। এদিকে ঠাকুরগাঁওয়ে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্ড বিতরণে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়ন বাজারে টিসিবির মালামাল বিতরণের সময় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি, শুধু কার্ড লেখা বাবদ দশ থেকে ত্রিশ টাকা এবং কার্ড দেওয়া বাবদ ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিয়েছেন ইউপি সদস্যরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। তবে ইউপি চেয়ারম্যান অখিল চন্দ্র রায় বিষয়টি অস্বীকার করেন। এদিকে ৯১১টি পরিবারের মাঝে টিসিবির কার্ডের জন্য তালিকা করা হলেও কার্ড না দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, চুয়াডাঙ্গা, মৌলভীবাজার, বগুড়া, খুলনা, ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, কোথাও বিক্রি শুরু করতে দেরি হয়েছে, কোথাও ভিড় বেশি ছিল, তাই কেউ কেউ পণ্য পাননি। কোথাও কার্ড হাতে নিয়ে মানুষকে এক কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্রে দৌড়াতে হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, কার্ড তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা তাদের অনুসারী ও পছন্দের লোকদের কার্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া টিসিবি এতদিন যে পণ্য বিক্রি করেছে, সেখানে সবার জন্য লাইনে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু এখন রাজধানী ছাড়া অন্য জেলায় শুধু কার্ডধারীদের পণ্য দেওয়া হচ্ছে। এতে করে বাকিরা ন্যায্যমূল্যে পণ্যক্রয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ১ কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দিচ্ছে সরকার। এই কার্ড দিয়ে একটি পরিবার দুই দফা ১১০ টাকা দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডাল ও ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবে। প্রথম ধাপের কার্যক্রম চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। আগামী ৩ এপ্রিল শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের বিক্রি কার্যক্রম।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন